নতুন উদ্যোগ ‘ছাদবাগান’, সহায়তা করবে অ্যাপস


Dr. F H Ansarey

Managing Director & CEO, ACI Motors Limited, ACI Agrolink Limited, Premiaflex Plastics Limited, ACI Agribusinesses

নতুন উদ্যোগ ‘ছাদবাগান’, সহায়তা করবে অ্যাপস

আমাদের ঢাকা শহরের চারিদিকে যদি একটু ভাল করে তাকাই তাহলে দেখা যাবে, ঢাকা শহরে প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ ছাদ আছে। এগুলো প্রায় খালি পড়ে থাকে। আরেকটা বড় সমস্যা যেটা হচ্ছে, মাঠঘাট খুব কম থাকায় বয়োস্ক মানুষ যারা রিটায়ার্ড করেছেন, তাদের হাটার একটা জায়গা, একটা ভাল পরিস্কার বাতাস পাওয়ার স্কোপ খুবই কম। ছোট বাচ্চাদের খেলার জন্য খুব একটা জায়গা নেই। এসব কারণে ছাদে বাগান বা ছাদবাগান একটা নতুন উদ্যোগ।

আমরা মনে করি, ছাদবাগানের অনেকগুলো সুবিধা আছে, এই যে আমাদের রিটায়ার্ড করার পর অন্তত গাছের সাথে কাজ করে কিছু সময় কাটানো। গাছের যে পরিবর্তন সেগুলো থেকে আনন্দ পাওয়া। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেটা হতে পারে সেটা হলো, একটা ছোট বাচ্চা যখন দেখছে যে একটা ছোট বিজ লাগাচ্ছে টপের মধ্যে, ওখান থেকে একটা গাছ হলো, পাতা হলো,সবুজ হলো, তারপর ফুল হলো। এই পরিবর্তনগুলো দেখলো। এক সময় একটা ফল হলো, তারপর এই ফল টাকে হারভেস্ট করার পরে মিষ্টি একটা ফল পেলো। এটার মধ্যে একটা এন্টারপ্রেনিউরশিপ তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের দেশের গৃহিণী যারা আছেন, তাদের বেশিরভাগই চাকরি করেন না, প্রায় ৮০ শতাংশই ঘরে থাকেন। তাদেরতো টুকটাক কিছু করার দরকার, তারা ছাদবাগান করতে পারেন। ছাদে বাগান করে লাভটা হচ্ছে এই যে, তার সুন্দর একটা সময় কাটানো হচ্ছে। তার একটা শখ পূরণ সম্ভব হচ্ছে। ট্র্যাডিশনাল যে সমস্ত কাজ কর্ম করে থাকে, তা থেকে একটা ভিন্নধর্মী কাজের সাথে সে মিশে যেতে পারছে।

কত বড় ছাদ দরকার: এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, একটা ছাদ বাগান করতে গেলে কত বড় ছাদ থাকতে হবে? যদিও আমরা ছাদ বাগান বলছি, আসলে বিষয়টা হলো ছাদে গাছ আরকি। বাগান এক জিনিস আর গাছ আরেক জিনিস। আমার ছাদ যদি ছোট হয় তাহলে পাঁচ থেকে দশটা টব হলেই হবে। আর একটা বিল্ডিংয়ে তো ২০ থেকে ২৫ টা ফ্ল্যাট থাকে। ছাদটা কিন্তু সবার। সবাই কিন্তু বলবে না যে, এই ছাদটা কেউ একা বাগান করুক। সবারই কিন্তু কিছু কিছু জায়গা থাকবে। কেউ কাপড় শুকানোর জন্য জায়গা চাইবে। কেউ হাটাহাটির জন্য জায়গা রাখতে চাইবে। তো এখানে ৫,৭,১০টা গাছও থাকতে পারে। কেউ ফুলের গাছ করতে পারে। কেউ ফলের গাছ, কেউ সবজী করতে পারে, কেউ পাতা বাহারের গাছ করতে পারেএ। এটা কিন্তু খুব ন্যাচারাল বিষয় এবং এখানে কোন মাত্রা নেই, মানে এখানে কোন হিসাব নিকাশ নেই। এটা হলো আমার শখ, আমার সময় কাটানোর ভালো জায়গা।

ভালো বাগান: আসলে একটা গাছের জন্য কী দরকার। একটা গাছের জন্য লাগবে আলো, বাতাস আর পানি। মাটিতে লাগালে যেটা দরকার, ছাদে লাগালেও সেটা দরকার, ঘরে লাগালেও সেটা দরকার। ঘরে যদি আলো থাকে যে পরিমাণ ঐ গাছটার জন্য দরকার, তাহলে কিন্তু ঘরেও হতে পারে। এই কারণে ছাদে আমাদের ঐ পরিবেশটা তৈরি করতে হবে। মাটি লাগবে। মাটিতে উর্বর শক্তির জন্য সার লাগবে। একটা পাত্র লাগবে অথবা একটা জায়গা লাগবে। সেখানে একটা গাছ হবে, গাছের জন্য রোদ লাগবে এবং সাথে বাতাসতো আছেই। তো এটাই হলো একটা গাছের জন্য পরিবেশ। এটা কিন্তু নিশ্চিত করতে হবে, তাহলে একটা ভালো বাগান হতে পারে।

বাণিজ্যিকভাবে ছাদবাগান: আমি মনে করি ছাদবাগানকে কারো বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করা উচিৎ নয়। ব্যাপারটা একটু আলাদা। প্রথমদিকে আমি বলেছি এটা একটা শখ, একটা কোয়ালিটি সময় কাটানো। ছোটো বাঁচ্চাদেরকে উৎসাহ দেওয়া। তার মাঝে এন্টারপ্রেনিউরশিপ গড়ে তোলা। আমাদের যারা গৃহিণী আছেন, তাদেরকে ট্রেডিশোনাল কাজ থেকে একটু আলাদা হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। আর যারা বয়োস্ক আছেন, রিটায়ার্ডে গিয়েছেন, এই রিটায়ার্ড জীবনেও কিছু সময় সুন্দর মত কাটানো। একটা কোয়ালিটি টাইম কাটানো, এটাকে বাণিজ্যিকভাবে নেওয়াটা ঠিক হবে না। হয়তো বাণিজ্য হতে পারে, কেউ কেউ করতে পারে, সেটা আলাদা। কিন্তু আমরা যেহেতু নতুন শুরু করেছি, এটাকে আমার শখ বলবো। বাড়তি একটা সময় কোয়ালিটি টাইম কাটানোর জন্য যদি করি, তাহলে উদ্দেশ্য ভালো হবে এবং এটা করার পরে মেণ্টাল সেটিসফেকশাণ হবে। কেউ যদি হিসাব করে টবের দাম কত, প্রতিদিন পানি দিতে আমার কত লেবার খরচ হলো, এটা যত্ন নিতে কত টাকা খরচ করলাম, এমন হিসাব করে আমার মনে হয় ছাদবাগান প্রোমোট না করাটাই ভালো। আমরা প্রোমোট করব হাই কোয়ালিটির প্ল্যান্ট এবং গাছ সুন্দর হতে হলে ভালো বীজ লাগবে, ভালো মাটি লাগবে। মাটির উর্বরতা শক্তির জন্য ভালো সার দিতে হবে এবং গাছের জন্য বাড়তি যা লাগে ক্যামিকেল তা দিতে হবে। সুন্দর একটা পট থাকতে হবে, ছাদটা যাতে ড্যামেজ না হয় সে ব্যাবস্থা নিতে হবে। ছাদে তাপমাত্রা বেড়ে গাছগুলো যাতে হলুদ না হয়ে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে এবং পুরোপুরিভাবে এই যত্নগুলো নিতে হবে।
ছাদ নষ্ট হওয়া রোধ করতে করনীয়: এটা ইঞ্জিনিয়ারিং দিক। আমি মনে করি, ছাদে লিক হয়ে পানি পড়ে যাতে স্যাঁতস্যাঁতে না হয়ে যায় সেদিকটা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রথমত, ছাদ হয়ে গেছে, সেখানে তো কিছু করার নেই। যদি ছাদের শুরুতে থিকনেস বাড়িয়ে দেওয়া য়ায় তাহলে খুবই ভাল হয়। আমাদের দেশে সাড়ে চার, পাঁচ, ছয় ইঞ্চি ছাদ হয়। আর যদি ছয় ইঞ্চির বেশি ৮ ইঞ্চি থিকনেস করা যায় তাহলে খুব একটা অসুবিধা হয় না। তারপর জলছাদ দেয়, তখন আর অসুবিধা হয় না। আর যদি বাড়ির ছাদ করা হয়ে গেছে, তাহলে কী করা উচিৎ ! সেক্ষেত্রে পানি যাতে না জমে সে ব্যাবস্থা করা উচিৎ। সেক্ষেত্রে অনেক সময় টবের নিচে, অনেকে পীড়ার মত একটা বেইজ করে নেয়, যেখানে পানি ধরার কোন স্কোপ থাকে না। সেখানে বাতাস যায় এবং পানি সরে যায়। অথবা বর্ষার সময় পানি সেখানে আটকে যায় না, এটা একটা হতে পারে। আরেকটা হতে পারে, যারা ছাদ করছে এখন তারা যদি অনেক মোটা করে ছাদ করে, সেটা ভালো। আবার অনেকে যদি মনে করে, আমি আমার সুবিধামত ভালো করে করব, সেক্ষেত্রে ছাদে টাইলস লাগিয়ে নিতে পারে। ফলস্ ছাদ করতে পারে। তাহলে কিন্তু ছাদের সমস্যা হবে না। আর যদি কোন কিছু করা সম্ভব না হয়, তাহলে ছাদে পলিথিন বিছিয়ে নিয়ে যদি এর উপরে গাছ লাগায়, তাহলে অসুবিধা হওয়ার কথা না।

ছাদবাগান প্রযুক্তি: এটা হল সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং জিনিস। এটা আমাদের এখানে হয় না। যদি কেউ গাছ করবে বা ফসল করবে, সবজি করবে বা ফল করবে এটা কিন্তু প্রাইমারিলি ইনোভেসন লাগবে, প্রযুক্তি লাগবে। প্রযুক্তির সাথে সাথে প্র্যাকটিস করতে হবে, যাতে করে প্রযুক্তিটা ঠিক মত এডাপ্ট করতে পারি এবং এটাকে কমিউনিকেট করতে হবে। আমাদের দেশে ছাদে বাগান বা ছাদে গাছ এটা নতুন একটা বিষয়। এর উপর আমি মনে করি আরও প্রচুর পরিমানে রিসার্চ করতে হবে। কি ধরণের কমপজিশনে মাটি থাকা দরকার, কি পরিমান অরগানিক ফার্টিলাইজার দিতে হবে যাতে বাতাস শিকড়ের কাছে যেতে পারে, পানিটা কিভাবে দেওয়া দরকার। ইদানিংকালে আমরা যেটা করি, আমরা বাকেট দিয়ে পানি দিই। এটার ডীপ ইরিগেশনও আছে। আপনি বাকেট দিয়ে পানি দিলেন ছুটির দিনে হয়তো দশ পনের দিন আপনি দেশের বাহিরে গেলেন। সবগুলো গাছ মরে যাবে যদি কেউ দেখার না থাকে। আবার গাছটা বাঁচানোর জন্য একটা লোক রেখে গেলেন, তার পেছনে অনেক টাকা খরচ হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ট্যাঙ্কের সাথে ডীপ ইরিগেশন কানেক্ট করলে, আপনি না থাকলেও কিন্তু যতটুকু পানি দরকার, ততটুকু পানি পড়বে। তাতে সুবিধা হবে গাছটার গ্রোথ ভাল হবে, গাছের ফল হবে, সেটা সুমিষ্ট হবে। এর কারণ একটা ছোট্ট উদাহরন দিয়ে বলা যেতে পারে, আমরা যদি সকাল বেলা পাঁচ গ্লাস পানি খেয়ে নেই আর সারাদিন যদি পানি না খাই, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কিছু হলো না। ঠিক তেমনি, গাছের ক্ষেত্রেও তাই, যখন যতটুকু দরকার. তখন তটটুকুই দিতে হবে। তাতে গাছের গ্রোথ ভাল হবে এবং স্যাঁতস্যাঁতে হবে না, নিচে ছাদ নষ্ট হবে না। সেখান থেকে যে ফল হবে, ফুল হবে, তার কোয়ালিটি অনেক বেটার হবে ।

গাইডলাইন: ছাদ বাগান করার জন্য বা ছাদে প্ল্যান্ট করার জন্য আমাদের ব্রোসিয়র আছে, বুকলেট আছে। আমাদের এসিআইতে ছাদে গাছ লাগানোর জন্য যা যা দরকার সবিই আমরা মারকেটিং করি এবং বণ্টন করি। আমাদের কাছে যে বুকলেট আছে, সেসব বুকলেট পড়লে কিন্তু সহজে বুঝতে পারা যাবে। আমরা ভাবছি, একটা ভিডিও যোগাযোগ করব, সেখানে আরও সুবিধা বাড়বে। আর আমরা অনলাইন বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সবাইকে আনার চেষ্টা করছি। তাদের সুবিধা হবে এই, যখন যার যে সমস্যা ফোন করলে সাথে সাথে আমরা সমাধান দিতে পারব। গাছের ছবি পাঠালে আমরা সাথে সাথে বলতে পারব গাছটার কি সমস্যা হয়েছে এবং কি এপ্লাই করলে গাছটাকে সুবিধা মত বাঁচিয়ে রাখা যাবে। ছবি মোবাইল অ্যাপস্ এর মাধ্যমে পাঠাতে পারবে এবং অ্যাপস্ এর মাধ্যমে সমস্ত যোগাযোগ করতে পারবে। ন্যাচারালি দেখতে পারবে। তারপর যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে যদি কোন ছবি পাঠায় তাহলেও আমরা সমাধান দিতে পারব।

কতদিন পর এ প্রযুক্তিসেবা পাওয়া যাবে: খুব বেশি না মাস দুয়েকের মধ্যে আমরা এটা সবাইকে দিতে পারব বলে আমার মনে হয়। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি, দুই মাসের মধ্যে আমরা অ্যাপস্টা এভেইলেভল করে দিব। এটা যে কোন এ্যান্ড্রয়েড ফোনে লোড করলে সেটার সাহায্যে কিন্তু অনেক সাপোর্ট পাবে এবং কমপ্লিট এগ্রোনোমিক প্র্যাকটিসটা এখান থেকে পাওয়া যাবে। আমি মনে করি এর মাধ্যমে এঞ্জয়েবল একটা ছাদবাগান যে কেউ করতে পারবে।

কতটা এগুচ্ছে: আমি মনে করি যে কমিউনিকেশনটা বা উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে কমিউনিকেট করার জন্য মিডিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং সরকার, এটা খুব দ্রুত আগাচ্ছে। আর আমরা যে লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি পট, বীজ, মাটি এবং অরগানিক ফার্টিলাইজার। সাথে সাথে গাছের গ্রোথের জন্য গাছের যে সমস্থ হরমন লাগবে, সবই আমরা দিচ্ছি। সাথে সাথে বুকলেট এবং যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সেটা থেকে আমি মনে করি অনেক ফার্স্ট আগাবে। আমরাতো দেখতে পাচ্ছি এটা একটা মনের খোরাক। মনের খোরাকের কারনেই কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ কিছু কিনে ব্যাবহার করে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, ছাদবাগান বা ছাদে গাছ অনেক কন্ট্রিবিউট করবে, মনের খোরাক মেটাবে এবং দ্রুত এটা গ্রো করবে।

ছাদবাগানের সুফল: এটা কমার্শিয়াল উদ্যোগ না। আমার যতটুকু জায়গা আছে, আমার যতটা সামর্থ্য আছে, আমি যা পছন্দ করি, তা নিয়েই শুরু করা যায়। আমি ফুল পছন্দ করি, আমি ফুল লাগাব। আমি ফুল বিক্রির জন্য নয়, এটা দেখার জন্য এবং দেখবো। কি জন্য এটা গ্রো করল এবং কিভাবে, আমার বাচ্চাটা দেখবে। তার মাঝে এন্টারপ্রেনিউরশীপ তৈরি হবে। আমার একটা গাছে ১০টা লেবু ধরেছে। ১০ টা লেবু বিক্রি করলে কত পাওয়া যাবে? খুব বেশী হলে ৫০ টাকা বা ৬০ টাকা। ৫০ বা ৬০ টাকার জন্য নিশ্চয়ই পট দিয়ে এত বড় আয়োজন করতে যাব না। আমার দেখার মেণ্টাল একটা সেটিসফেকশান যে, আমার গাছে লেবু ধরেছে। একইভাবে সবজির ক্ষেত্রেও তাই হবে। আমি মনে করি, এখানে নাম্বার না, এটা হলো আমি কী চাই, আমি কী দেখলে খুশি হবো, এই খুশির মাত্রাটার সাথে যোগ হবে এটা। এটা অবশ্য পরিবেশের জন্যও একটা বিরাট ব্যাপার। কিছুদিন আগেও আমি শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। যারা ছাদবাগানের উদ্যোক্তা, তাদের সাথে সেমিনার হচ্ছিল। সেখানে আমাকে ডেকেছিল। ওখানে প্রোফেসর বলছিলেন যে, বাংলাদেশে যেটা হয়, যেহেতু গরম কালে প্রায় বাসায় এসি আছে, মানে ভেতর থেকে বাহিরে অনেক বেশি গরম এবং এসি থেকে যে সমস্ত বাতাস বের হচ্ছে অনেক গরম বাতাস। যার জন্য এম্বেণ্ট তাপমাত্রা নরমাল যা হওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রী বেড়ে যায়। গাছ থাকলে অন্তত এই ২-৩ ডিগ্রী তাপমাত্রা নামিয়ে রাখা সম্ভব। কারণ হল এই ছাদে যখন রোদ পড়ে, তখন কিন্তু সেখানে হিট শোষণ হয় এবং রাতের বেলায় কিন্তু এগুলো ছাড়তে শুরু করে। যেহেতু এখানে গাছের ছায়া আছে, সেক্ষেত্রে কিন্তু তাপ শোষণ হচ্ছে না। তখন কিন্তু এই ২-৩ ডিগ্রী তাপমাত্রা নামিয়ে রাখা সম্ভব। আমরা বলতে পারি ছাদ বাগান শুধু মনের খোরাক মিটায় না, পরিবেশের বিরাট বড় উপকার করে। পাশাপাশী অক্সিজেনের কোয়ালিটি বাড়ায়, যেটা আমাদের খুবিই দরকার। একদিকে ঠা-া, একদিকে অক্সিজেন কোয়ালিটি, আরেকদিকে দেখতে সুন্দর লাগে। আমি মনেকরি ছাদ বাগান এবং ছাদে গাছ অনেক ভালো একটা উদ্যোগ।

ড. এফ এইচ আনসারী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
এসিআই এগ্রিবিজনেস।